১১ দিনেই বাপ-ছেলের করোনা জয়

ঘরে বসে চিকিৎসা নিয়ে করোনা যুদ্ধে জয়ী হলেন কক্সবাজারের চকরিয়ার বাসিন্দা গার্মেন্টস কর্মকর্তা সাঈদুল ইসলাম ও তার ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবা আবদুল মতলব। তাদের বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কাচারিপাড়ায়।

তাদের দুইজনকে শুক্রবার (৮ মে) ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্টানিক ছাড়পত্র দেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, হাসপাতালের আরএমওসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গত এপ্রিলের ২৭ তারিখ চট্টগ্রামের এক গার্মেন্টেস কর্মকর্তা সাঈদুল ইসলামের দেহে করোনা ধরা পড়ে। এরপর ২৯ এপ্রিল তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এতে সাঈদুলের বাবা আবদুল মতলবের করোনা পজিটিভ আসে। তবে ওই সময় তাদের মধ্যে কোন উপসর্গ ছিলোনা।

তিনি আরো বলেন, পরে আমরা তাদের দুইজনকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। তাদের আমরা একটা মেডিকেল চার্ট দিয়েছিলাম। সাথে বেশ কয়েক রকমের ওষুধ দিয়েছিলাম। তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো। যে সময় যা প্রয়োজন সেভাবে চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের গত ৬ মে আবার করোনা টেস্ট করানো হয়। ওই টেস্টে তাদের রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। তাই আজ তাদেরকে হাসপাতালে ডেকে এনে আনুষ্টানিকভাবে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

করোনা জয় করা সাঈদুল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, প্রথম যেদিন করোনা পজিটিভের খবর আসে সেদিন খুব ভেঙে পড়েছিলাম। ২৭ এপ্রিল আমার পজিটিভ রেজাল্ট আসার পর ২৯ এপ্রিল আমার বাবারও পজিটিভ রেজাল্ট আসে। হাসপাতালের ডাক্তারদের আশ্বাসে মনে শক্তি ফিরে আসে। তাই আমরা দুইজনে বাড়িতেই চিকিৎসা নেব বলে হাসপাতালের ডাক্তারদের জানাই। তারা সেভাবে আমাদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেন।

তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে যেভাবে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে সেভাবে চলেছি। প্রচুর পরিমাণে গরম পানি, গরম পানির ভাপ নেয়া, বিভিন্ন ধরনের মসল্লা দিয়ে ঘনঘন রং চা পান করেছি। আমরা বাপ-ছেলে দুইজনই ১১দিনের মাথাই সুস্থ হয়েছি। আল্লাহ আমাদের সহায় ছিলো।

উল্লেখ্য, সাঈদুল ইসলাম চট্টগ্রামের একটি বিদেশী পোশাক কারখানার কর্মকর্তা। গত এপ্রিল মাসের ২০-২১ তারিখের দিকে চট্টগ্রাম থেকে তিনি বাড়ি ফিরেন। এরপর তিনি নিজে থেকে ২৫ এপ্রিল করোনা টেস্ট করান। পরে ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে।


এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm