মাদকসহ নানা কাণ্ডে এবার কক্সবাজার জেলা পুলিশের ১১০ জন কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। পর্যটনশহরটির প্রায় সব থানার কনস্টেবলদের বদলি করে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
গত ১১ জানুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-৩) মো. মাহবুবুল করিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বদলির এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের মধ্যেই চলছে নানা আলোচনা। বদলি করা কনস্টেবলদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যাকাণ্ডের পর ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের ১ হাজার ৩৪৭ জন সদস্যকে একযোগে বদলি করা হয়েছিল।
অবশ্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ১১০ জন কনস্টেবলকে বদলি মূলত রুটিন কাজ।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে কক্সবাজার জেলা বিশেষভাবে মনিটরিং করা হয়। কারণ এ জেলায় মাদক কেনাবেচা হয় বেশি। এর আগে মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একযোগে পুলিশের সব সদস্যকে বদলি করা হয়। যে ১১০ জন কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করা হয়েছে তাদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে মাদক কেনাবেচাসহ বিস্তর অভিযোগ আছে।
তাদের দাবি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের বর্তমান ডিআইজি আনোয়ার হোসেন পুলিশের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোরতা দেখাচ্ছেন। যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাচ্ছেন তাৎক্ষণিক তিনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তারা বলছেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যাকাণ্ডের পর যাদের কক্সবাজারে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল তাদের রাখা হয়েছিল কড়া নজরদারিতে।
জানা গেছে, কক্সবাজারে কর্মরত থেকে সদ্য বদলির আদেশ পাওয়া কনস্টেবলদের মধ্যে ইলিয়াস সরকার, হাবিবুর রহমান, মিলন মিয়া, আক্কাছ আলী, ডালিম আহমেদ শান্ত, তানজুম আক্তার, শাহিদা আক্তার, এসএম মঈন উদ্দীন, নাজমুল ইসলাম রাজু, আরিফুজ্জামান, সবুজ সিকদার, সেলিনা আক্তার, শাহীন আলম, মোমেন মিয়া, মহসীন মোল্লা, এমারত হোসেন, শাহীন মিয়া, মানিক মিয়া ও লাবণী বেগমকে ঢাকা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া আকলিমা বেগম, আবুল কালাম আজাদ ও ইয়াকুব হোসেনকে সিলেট রেঞ্জে এবং মোহন চন্দ্র গাইনকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।