পণ্য আমদানি-রপ্তানির কাজে ব্যবহার করা পুরানো সব কাগজপত্রই ধ্বংস করে ফেলবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। এ কাজের জন্য একটি কমিটি গঠন করে পুরানো সব কাগজপত্র এক জায়গায় জড়ো করা হচ্ছে। প্রতি গ্রুপ থেকে পুরোনো নথি বস্তায় ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ধ্বংস করার মতো এমন পুরনো নথির পরিমাণ অন্তত ১০ লাখ পিস হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে ব্যবহার করা পুরনো ও সংরক্ষণ করার প্রয়ােজন নেই— এমন সব নথি ধ্বংস করার নির্দেশনা দিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম। এ জন্য যুগ্ম কমিশনার (জেটি) শামসুজ্জামানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগেই এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সব নথি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে যেসব চালানের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে, সেসব চালানের নথি সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মামলা সংক্রান্ত সব নথি মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে কাস্টমস হাউস।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার (জেটি) শামসুজ্জামান বলেন, কাস্টমস হাউস যেসব নথি ধ্বংস করবে এর পরিমাণ ১০ লাখের কম হবে না। প্রত্যেক হাউস থেকে নথি বস্তাবন্দি করে রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব নথি এক স্থানে জড়ো করে এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিভাবে ধ্বংস করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের গ্রুপ সেভেন বি’র রাজস্ব কর্মকর্তা লস্কর বখতিয়ার রহমান জানান, ‘এ গ্রুপ থেকে প্রায় ২৬ হাজার পিস নথি বস্তা বন্দি করা হয়েছে ধ্বংসের জন্য। পুরানো নথিগুলো বছরের পর বছর সংরক্ষণ করার কোন প্রয়োজনই নেই। ধ্বংসের এ উদ্যোগটি আগে নেওয়া দরকার ছিল।’
কাস্টমসের আইন শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিশ্বজিত চৌধুরী জানান, এ শাখা থেকেই প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার নথি বের হয়েছে। নিয়মানুসারে যে সব নথির মামলা চলমান রয়েছে সেগুলো ধ্বংস না করে সংরক্ষণ করা হবে। এভাবে প্রত্যেক গ্রুপ থেকে ধ্বংসের জন্য নথি বস্তাবন্দি করা হয়েছে।
কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, কাস্টমস হাউসের ধ্বংসযোগ্য নথিগুলো কিভাবে ধ্বংস করা হবে সেটি এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কিভাবে ধ্বংস করা যায় সেটি পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও সব নথি এক স্থানে করার কাজ চলছে।
এএস/সিপি