প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই করোনা মহামারির মধ্যেও দেশে পাঠাচ্ছেন বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স। চলতি মে মাসের মাত্র নয় দিনেই প্রবাসীদের কাছ থেকে দেশে ঢুকেছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বা ৯১ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
অবশ্য বরাবরই দেখা যায়, ঈদের আগে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন, যাতে তাদের আত্মীয়স্বজনরা দেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। এবারও যথারীতি তার ব্যতিক্রম হয়নি।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে প্রবাসীরা পাচ্ছেন মোট ১০২ টাকা।
বেশিরভাগ রেমিট্যান্সই আসছে মূলত ১০টি দেশ থেকে। গত ১০ মাসে আসা রেমিট্যান্সের প্রায় ৮৯ শতাংশই পাঠিয়েছেন এই ১০টি দেশের প্রবাসীরা। এর মধ্যে শুরুতেই রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। তালিকায় পরের দেশগুলো হচ্ছে— যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ওমান, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।
করোনা মহামারীর মধ্যে প্রায় প্রতি মাসেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আগের মাসের রেকর্ড ভেঙে চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এপ্রিল মাসেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। অথচ তার আগের বছরের একই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে দেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২ হাজার ৬৭ কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসাবে যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় দেশে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে।
সিপি