০১৭৩১৫৯৯৪৬৬ নম্বরের প্রতারক চাঁদা চাইছে ইউএনওদের নাম ভাঙিয়ে

হাটহাজারী ও সন্দ্বীপেও ফোন গেছে ব্যবসায়ীদের কাছে

গ্রামীণফোনের একটি নম্বর থেকে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসি ল্যান্ডদের নাম করে দাবি করা হচ্ছে চাঁদা। বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রথমে চাঁদা চাওয়া হয়, না দিলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করার হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিবারই গ্রামীণফোনের নির্দিষ্ট যে নম্বরটি ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রতারণায়, সেটি হচ্ছে— ০১৭৩১৫৯৯৪৬৬।

এরই মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ছাড়া অন্তত তিনজন ইউএনওর নাম দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে।

জানা গেছে, শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সুমন শাহ কারিগর নামের এক ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত একটি গ্রামীণ নম্বর ০১৭৩১৫৯৯৪৬৬ থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন পরিচয়ে মদুনাঘাটের বেকারি মালিক মো. বাবরের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও বেকারি সিলগালার হুমকি দেওয়া হয় ওই ব্যবসায়ীকে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও রুহুল আমিন ফেসবুকে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ওই নম্বর ও চাঁদা দাবির বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট নন বলে জানান। নম্বরটির মালিকের পরিচয় দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণাও দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতারকচক্রটি হাটহাজারীসহ বিভিন্ন উপজেলার বেকারি মালিকদের চিহ্নিত করে অভিযান চালানোর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দিলে অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা করার হুমকি দিচ্ছে।

ওই একই নম্বর থেকে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সহকারী কর্মকর্তার (ভূমি) নামে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্নজনের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘আজকে আমাকে একজন জানাল আমার নামে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। আমি আমার ফেসবুক আইডি থেকে নম্বরটির ব্যাপারে সচেতন করে পোস্ট করে নম্বর মালিকের সন্ধানে পুরস্কার ঘোষণা করি। রোববার হাটহাজারী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করব।’

সিএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!