হ্যাকিং/ ফেসবুক গ্রুপের নারী এডমিন নগর পুলিশের কব্জায়
ফেসবুকভিত্তিক ‘গার্লস প্রায়োরিটি’ গ্রুপের এডমিন তাসনুভা আনোয়ারকে হ্যাকিংয়ের (অবৈধ অনুপ্রবেশ) অভিযোগে আটক করে ছেড়ে দিয়েছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
বুধবার (১২ জুন) বিকেলে কাউন্টার টেরোরিজমের একটি ইউনিট নগরীর চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে তাকে আটক করলেও বিষয়টি গোপন রাখা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ সময় তাসনুভার সঙ্গে গার্লস প্রায়োরিটি গ্রুপের আরেক এডমিন আমেনা বেগম চৈতীও ছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেইজ, গ্রুপ, ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ‘হ্যাক’ করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সালমান মোহাম্মদ ওয়াহিদের দেওয়া তথ্য যাচাইবাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাসুনভা আনোয়ারকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে। এর আগে একই অভিযোগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে দুবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, ২৬ মে পাঁচলাইশ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাসনুভা আনোয়ার, আমেনা চৈতী, সালমান মোহাম্মদ ওয়াহিদসহ কয়েক জনকে আসামি করে মামলা করেন ইসতিয়াক হাসান। তিনি অভিযোগ করেন, সালমান ও তার গ্রুপের কিছু সদস্য ইসতিয়াকের স্ত্রী জুহি চৌধুরীর নামে বিভিন্ন ভুয়া আইডি খুলে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। তারা ১১ মে জুহি চৌধুরীর ফেসবুক আইডির বিপরীতে নকল ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে ‘তিনি মারা গেছেন’ এই মর্মে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে রিপোর্টও করে। এ কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জুহি চৌধুরীর কাছ থেকে ফেসবুক এক্সেস নিয়ে নেয় এবং একাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে রাখে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, হ্যাকার সালমান মোহাম্মদ ওয়াহিদের সঙ্গে তাসনুভা আনোয়ারসহ গার্লস প্রায়োরিটি গ্রুপের এডমিনদের সখ্য রয়েছে। তবে অভিযুক্ত তাসনুভা আনোয়ার বলেন, সালমানের সঙ্গে আমাদের সখ্য রয়েছে ঠিকই কিন্তু আমরা কোনোভাবেই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত নই।