হেফজখানার শিক্ষক গত ৬ মাস ধরে ছেলেশিশুটিকে বলাৎকার করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত তাকে যৌন নিপীড়ন করেন ওই শিক্ষক। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ওই ছাত্র হেফজখানা থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে পরামর্শ করে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই শিক্ষককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রের বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বালারপাড়ার হযরত শাহ সুফি সৈয়দ ইব্রাহিম রহমতুল্লাহ (আ.) হেফজখানা ও ইসলামিয়া এতিমখানায়। অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা মো. বেলাল উদ্দিনকে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
১৩ বছর বয়সী ভিকটিম ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক বেলাল গত ৬ মাস ধরে শিশুটিকে বলাৎকার করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত তাকে যৌন নিপীড়ন করে যান ওই শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ওই ছাত্র হেফজখানা থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে পরামর্শ করে রোববার রাতে শিক্ষক মাওলানা বেলাল উদ্দিনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রের বাবা।
ভিকটিমের বাবা বলেন, ‘শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের কারণে আমার ছেলে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে আসতো। মাদ্রাসায় যেতে চাইতো না। ওই শিক্ষক ভয় দেখানোর কারণে এত দিন সে বিষয়টি আমাদের জানায়নি। গত বৃহস্পতিবার আমার ছেলে আবারও বাড়িতে চলে আসে। তাকে জোর করে মাদ্রাসায় পাঠানোর চেষ্টা করলে কান্নাকাটি করে শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের বিষয়টি বলে। এ বিষয়ে জানতে শিক্ষকের কাছে গেলে সে বিভিন্নভাবে সমঝোতার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসএস/সিপি