বই খাতা, কলম কিংবা চক-ডাস্টারের চিরচেনা ক্লাশের বদলে দেশের আটটি স্কুলে চালু হচ্ছে ডিজিটাল ক্লাশ। এই ডিজিটাল ক্লাশের জন্য লাগবে না ইন্টারনেটও। দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বিটিসিএল পরিচালিত আটটি টিএন্ডটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটবিহীন এই ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান— আগ্রাবাদ টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়।
এই পদ্ধতিতে মোবাইল বা ট্যাবে বোর্ডের পাঠ্যসূচি ডিজিটাল অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি করা সফটওয়্যারে পাঠদান করা হবে। ফলে খেলার ছলে ছোট শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে সহজে এবং আগ্রহের সাথে পড়াশোনা চালাতে পারবে। বিটিসিএল পরিচালনাধীন আটটি টিএন্ডটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে প্রি-স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এই শিক্ষাকার্যক্রম চালু হচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে উদ্ভাবিত সফটওয়্যার শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করবে বিজয় ডিজিটাল অ্যাপ। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে ট্যাব সরবরাহ করবে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সরবরাহকৃত ট্যাবে বিজয় ডিজিটাল অ্যাপটি আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবে।
বুধবার (৮ জুলাই) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বিটিসিএল, হুয়াওয়ে এবং বিজয় ডিজিটালের যৌথ উদ্যোগে এই পাঠদান হবে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের সবচেয়ে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো ডিভাইস এবং কনটেন্ট। গত ১১ বছরে বিজয় ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়ক চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করতে পেরেছেন। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের কনটেন্ট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পেরেছে বিজয়। বিনা টাকায় করোনাকালে শিক্ষার্থীরা এই কনটেন্টটি এখন পাচ্ছে।
ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পাঠদানের প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার বনানীতে টিএন্ডটি বয়েজ হাইস্কুলে কার্যক্রমটি শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দুই বছরের মধ্যে টিএন্ডটির আরও ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় আসবে।
সিপি