চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যম হালিশহরে বাসায় ফেরার পথে স্বামীর এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে চাঁদনী আক্তার নামের এক পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকালে বাসায় ফেরার পথে হালিশহরের ধুম পাড়া এলাকার রাজন গার্মেন্টসের সামনে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
চাঁদনী আক্তার (৩০) সিইপিজেডের ‘এভারটোব বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি খুলনা জেলার দাকোপ থানার খাজুরিয়া গ্রামের চাঁনমিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদনির সঙ্গে সবুজ খন্দকারের ২০২৩ সালে বিয়ে হয়। সবুজ সবসময়ই নেশাগ্রস্ত থাকতেন। বিভিন্ন সময় চাঁদনীকে মারধর করতেন তিনি। নির্যাতন থেকে বাঁচতে কয়েকবার ঘর থেকে পালিয়ে যান চাঁদনী। কিন্তু বারবারই স্বামীর জেদের কাছে হার মেনে ঘরে ফেরত আসতেন।
শনিবার কাজ থেকে ঘরে ফেরার পথে হালিশহর রাজন গার্মেন্টসে সামনে চাঁদনীকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত মারতে থাকেন সবুজ। কয়েকজন পথচারী পাশে রক্ত মাখা ছুরিসহ চাঁদনী আক্তারকে পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদনী আক্তারের ছোট বোন কাজল বলেন, আমাকে কল দেওয়া হয়েছে। আপুকে ওর জামাই মেরেছে। আমি চট্টগ্রাম মেডিকেলে এসে দেখি আমার বোন মারা গেছে। আপুর জামাই নেশা করে সব সময়ই ওকে মারতো। সব সময়ই মাতালের মত থাকতো। সামনে যেটা পেত ভাঙতো, তখন আপু কিছু বলতে গেলে ওকেও ধরে মারতো। জামাই নির্যাতনের বিরক্ত হয়ে ঘর থেকে চলে গেলেও প্রতিদিন ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়ে বিরক্ত করতে থাকতো, যতক্ষণ আপু ঘরে ফিরিয়ে না আসতো। আপুর জামাইয়ের আসল ঠিকানা কোথায় আমরা এখনও জানি না। তবে উনি ঢাকায় থাকতো। আমি আমার বোনের হত্যাকারী ফাঁসি চাই।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, এক নারীকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরএ/ডিজে