চট্টগ্রামের হালিশহরের বড়পোল এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় ট্রফিক বক্স ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক এসব অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ শেষ করে স্থানীয়রা।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফারুক আহম্মেদ (৬০) নামের এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। বড়পোলের মইন্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ফারুক বড়পুলের মইন্নাপাড়া এলাকার মসজিদ পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, আহত ফারুকের ঘটনায় অবৈধ অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে তাৎক্ষণিক বড়পোল পুলিশ বক্সে গিয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় জনতা। সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) অটো বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বড়পোল মোড়ে সবসময়ই অটোরিকশার জ্যাম লেগে থাকে। প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিত মোড়ে শত শত অটোরিকশা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে সড়কজুড়ে। শনিবার দুপুরে ফারুক আহমেদ রাস্তা পার হওয়ার জন্য দূর থেকে সংকেত দেয় অটোরিকশা চালককে। কিন্তু চালক সংকেত না মেনেই গাড়ি উঠিয়ে দেয় তার গায়ে। এ সময় তার পা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে আগ্রাবাদের ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
জানা গেছে, হালিশহর এলাকায় অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে নিয়ন্ত্রণ করছে নিবন্ধনবিহীন চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক চার্জার রিকশা মালিক সমিতি। উচ্চ আদালতের দোহাই দিয়ে এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে পুঁজি করে টোকেন বাণিজ্য করে সংগঠনটি প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।
কিন্তু ট্রাফিক বক্স ঘেরাও করার কথা অস্বীকার করে হালিশহর থানার ট্রাফিক পরিদর্শক অমলেন্দু বিকাশ চন্দ বলেন, ‘শনিবার দুপুরে অটোরকিশার ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনার পর স্থানীয় কিছু লোকজন আমার কাছে আসে। আমি তাদের বলেছি, আইনগত সহায়তা নিতে থানায় অভিযোগ করতে। পরে তারা সবাই চলে যায়।’
অবৈধ অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বড়পোলের প্রধান সড়কে অটোরিকশা দেখলে আটক করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গলির ভেতরে গিয়ে আটক করার নিয়ম নেই।’
এমএ/ডিজে