হালিশহরে কলেজছাত্র সাব্বির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

চট্টগ্রামের হালিশহরে কলেজছাত্র মো. সাব্বির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী, সহপাঠী ও স্বজনরা।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় হালিশহর থানা ঘেরাও করে তারা বিক্ষোভ করেন।

সাব্বিরের জানাজা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা থানার সামনে অবস্থান নেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। পরে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এর আগে বুধবার (২১ মে) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাব্বির। তিনি হালিশহর আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। নয়াবাজার আমিন কন্ট্রাক্টর রোড এলাকার বাসিন্দা মো. ইসহাক কন্ট্রাক্টরের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি।

হামলার শিকার হওয়ার পর মৃত্যুর আগে লাইফ সাপোর্টে যাওয়ার আগে এক সাংবাদিককে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে সাব্বির হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘বড়ভাই’ না মানায় কিশোর গ্যাং নেতা আবিদের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন যুবক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আতাউল নামের একজন তার পেটে ছুরিকাঘাত করে। আরও দুই হামলাকারী হিসেবে তিনি বিজয় ও রাফসানের নাম উল্লেখ করেন।

সাব্বিরের মামা মো. শফিকুল জানান, ১৬ মে শুক্রবার নামাজ শেষে চা খাওয়ার কথা বলে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে হালিশহরের নতুন বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সাব্বিরকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবিদ, আতাউল, বিজয় ও রাফসান মিলে একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে, যার সদস্য সংখ্যা ৪০-৫০ জন। তারা এলাকায় নিয়মিত চাঁদাবাজি, মারামারি ও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

এ বিষয়ে হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এলাকার কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm