কেউ বসিয়েছিল ঘেরা জাল। এতে ধরা পড়ছিল মা মাছ ও ছোট ছোট পোনা। আবার কেউ তুলছিল বালু। বালু তুলতে নদীজুড়ে চষে বেড়াচ্ছিল তারা ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে৷ দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে এভাবেই অবৈধভাবে বালু উত্তলন ও মা মাছ নিধন করছিল একটি চক্র।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) রুহুল আমিনের জালেই এবার আটকা পড়লো
১০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা আর ১ হাজার মিটার ঘেরা জাল। আর হাতেনাতে ধরা পড়ে এক নৌকা মালিককে গুনতে হল ২০ হাজার টাকা জরিমানা। আটককৃত ১০টি নৌকাগুলোও করা হয় ধ্বংস।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী ইউএনও রুহুল আমিনের নেতৃত্ব হালদা নদীর সাত্তার ঘাট থেকে নয়াহাট এলাকা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।
এ বিষয়ে রুহুল আমিন বলেন, ‘হালদায় মা মাছ ও ডলফিন রক্ষায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু এরপও বিভিন্ন সময় বালু উত্তোলন ও ঘেরা জাল বসিয়ে মা মাছ নিধনের ফলে মা মাছ ও ডলফিনের আবাসস্থল হুমকির মুখে পড়ছে। উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ধ্বংস ও ঘেরা জাল জব্দ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘শনিবারের অভিযানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে বালু উত্তোলনের সময় ১০টি নৌকা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এসময় নৌকা মালিক মো. জাফরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।’
সিএম/এমএফও