নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ পরিবহনের চালক জামাল হোসেন, হেলপার ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার মো. জনিকে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করেছে আদালত।
রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ঠিক করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে। ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর রহমান পায়েল। কিন্তু ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, হানিফ পরিবহনের গাড়ি চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার তাকে নির্মমভাবে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছিলো।
পায়েলের লাশ উদ্ধারের পরদিন ২৪ জুলাই তার মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে হানিফ পরিবহনের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের মধ্যে জামাল হোসেন ও ফয়সাল হোসেন দুই ভাই। পায়েলকে খুন করার আদ্যপান্ত জানিয়ে এদের দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
এমএফও