চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জঙ্গল পুঁইছড়ির বনাঞ্চলে কৃষিকাজ করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে জীবন কৃষ্ণ দাশ নামের এক কৃষক মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে জীবন কৃষ্ণ (৫০) মারা গেলেও লাশ উদ্ধার হয় বিকালে। তিনি উত্তর পুঁইছড়ি গ্রামের দাশ পাড়ার মৃত হরিপদ দাশের ছেলে। বিকালে তার লাশ পারিবারিকভাবে দাহ করা হয়েছে।
গ্রামবাসী জানান, হাতির আক্রমণে নিহত জীবন কৃষ্ণ দাশ প্রতিদিনের মতো বনাঞ্চলে কৃষিকাজ করতে গিয়েই হাতির আক্রমণে শিকার হয়েছেন।
বনবিভাগের পুঁইছড়ি বনবিটের বনবিট কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘জীবন কৃষ্ণ দাশ হাতির আক্রমণে মারা গেছেন। তাকে পারিবারিকভাবে সৎকার করা হয়েছে।’
লোকালয়ে হাতির শাবক
এদিকে পথ হারিয়ে লোকালয়ে চলে আসা একটি হাতির শাবক গত তিনদিন ধরে রয়েছে বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের পাহাড়ি জঙ্গলের পাইরাং গ্রামে। সেটিকে বনবিভাগ ও প্রাণীসম্পদ বিভাগ অনেক চেষ্টা করেও বনে ফেরাতে ব্যর্থ হলে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে কক্সবাজারের চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করে।
প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের ডাক্তার সুপন নন্দীর তত্ত্বাবধানে প্রতিনিয়ত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১৬ অক্টোবর সরল ইউনিয়নের জঙ্গল পাইরাং পাহাডি গ্রামে ১৫-২০দিন বয়সী হাতি শাবকটি ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে বাঁশখালী জলদী অভয়ারণ্যের রেঞ্জের বনরক্ষীরা শাবকটিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে পাহাড়ি এলাকায় নিবিড় পরিচর্যায় রাখে। তিনদিন যাবৎ প্রাকৃতিকভাবে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে দফায় দফায় চেষ্টা চালায় বনরক্ষীরা। কোনো উপায় না দেখে ও মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিকালে হাতি শাবকটিকে সাফারি পার্কে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী জলদী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ‘হাতি শাবকটি কাদা মাটিতে আটকে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তিনদিন যাবৎ দুধ ও প্রাকৃতিক খাবার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসেবাও। হাতি শাবকটিকে প্রাকৃতিকভাবে যদি মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় তাহলে ভাল হতো। সে প্রক্রিয়ায় সম্ভব না হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে হাতির শাবকটিকে গাডিতে করে সাফারি পার্কে নেওয়া হয়েছে।’
ডিজে