‘হাতিটিকে কে হত্যা করলো’ তদন্তে চট্টগ্রামে প্রধান বন সংরক্ষক টিম

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতি হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে চট্টগ্রামে এসেছেন ঢাকার প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) তদন্ত টিম। তারা শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এর আগে ২৩ নভেম্বর লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া চাকফিরানি দক্ষিণ ঘোনার বিল এলাকায় পরিকল্পিতভাবে একটি বন্যহাতি হত্যার অভিযোগ উঠে। পরে এই ঘটনায় আসাদুজ্জামান নামের এক বন কর্মকর্তা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসেন ওই সময় বলেছিলেন, বড় হাতিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ি এলাকায় হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন হাতিটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা হাতিটিকে হত্যা করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি।

পরবর্তীতে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় (চট্টগ্রাম) বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ জানান, হাতিটিকে ময়নাতদন্ত করার সময় আমরা হাতিটির গায়ে গুলির চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। পরে ময়নাতদন্ত করে গুলিটি উদ্ধার করা হয়েছে। হাতিটির শরীরে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ারও চিহ্ন রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা ধারনা করছি- কেউ হাতিটিকে গুলি করার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরেছে। দুই বছর আগেও ওই এলাকায় আরও একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় এলাকার নিরীহ মানুষ দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তারা তদন্ত টিমের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের নিরাপরাধ দাবি করেন।

তদন্ত টিমের হারপোলজিস্ট সোহেল রানা জানান, বন্যপ্রাণী হত্যার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। বন্যহাতিটিকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা জানতেই তদন্ত টিমের এখানে আসা। বড়হাতিয়ায় বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় সিসিএফের তদন্ত টিমের আহবায়ক বন সংরক্ষক ক্রাইম কন্ট্রোলের পরিচালক জহির উদ্দিন আকনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঘটনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। ওই সময় ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের নাম উঠে এসেছে বলেও জানান তিনি।

সিসিএফ তদন্ত টিমের সদস্য বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূর জাহান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ছাড়াও এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুনতি বন কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম, সাতগড় বিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ, হারবাং বিট কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান, বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমডি জোনাইদ চৌধুরী।

আইএমই/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm