হাজী নুরুল হকের কপালজোর, আয় বেড়েছে তিনগুণ

৫ বছরে খাতুনগঞ্জে ২ প্রতিষ্ঠানের মালিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী নুরুল হকের গত ৫ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। একই সঙ্গে খাতুনগঞ্জে তার রয়েছে দুই কোটি টাকা মূলধনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। সবমিলিয়ে ৫ বছরে এই কাউন্সিলরের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬ হাজার ৩৯০ টাকা। তবে তার হলফনামায় কর পরিশোধের কোন তথ্য নেই।

হাজী নুরুল হকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনসহ রয়েছে ৮টি মামলা। সেখানে সবকটি মামলায় খালাসও পান তিনি। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশনের দাখিল করা হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ৫ বছরে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর থাকাকালীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয় গচ্ছিত রাখাসহ বেড়েছে নুরুল হকের নগদ অর্থের পরিমাণও।

২০১৫ সালের ২৫ মার্চ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার। ৫ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তার ব্যবসার একটি আয়ের খাত থেকে আয় দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ৫ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৬ লাখ ৩ হাজার ৮৯০ টাকা। গত ৫ বছরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এলাকায় মেসার্স অ্যাপোলো স্টোর ও মের্সাস শাহ জালাল স্টোর নামে দুটি প্রতিষ্ঠান মালিক হন তিনি। তার হলফনামায় আয়কর পরিশোধের কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া গত ৫ বছরে তার নিজ নামে ১৫// দশমিক কণ্ট অকৃষি জমি, ব্যবহৃত আসবাবপত্রের মধ্যে ২টি খাট, ২টি আলমিরা ও একটি আলনা ও তার স্ত্রীর নামে ছিল ১০ তোলা স্বর্ণ ও ২টি ফ্যানসহ একটি এয়ার কন্ডিশনার (এসি) গত ৫ বছরের হিসাবেই স্থিতাবস্থায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাকলিয়া থানার চাক্তাই চালপট্টি এলাকায় স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলার ঘরে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয় কাউন্সিলর হাজী নুরুল হকের বিরুদ্ধে। মামলার পর ওই মহিলা ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে অসম্মতি প্রকাশ করলে ওইদিন স্থানীয় পুরুষদের উপস্থিতিতে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পায় পুলিশ। ১৬ জুলাই ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি থেকে পাঠানো ডিএনএ রিপোর্টটি চট্টগ্রাম মহানগর মূখ্য হাকিম আদালত থেকে ডেসপাস শাখায় জমা হয়। ওই রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। ১ আগস্ট মহানগর হাকিম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে পুনরায় ডিএনএ টেস্টের আদেশ দেন। ২০১৪ সালের ৪ মার্চ মামলাটি থেকে খালাস পেয়ে যান কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক।

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm