হাছান মাহমুদ ও নওফেলের অবৈধ সম্পদ খুঁজছে দুদক, তালিকায় খাগড়াছড়ির কুজেন্দ্র লালও
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ আওয়ামী লীগের সাবেক ১৮ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও ২৩ সাবেক সংসদ সদস্যসহ মোট ৪১ জনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক সংসদ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন খাগড়াছড়ির কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাও।
সাবেক এসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আইনজীবী আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন দুদকে অনুসন্ধানের আবেদন করেন।
এরপর আইনজীবীর তালিকায় থাকা ওই ৪১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করা হবে যেসব মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর, তারা হলেন— সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহজান খান, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সাবেক শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।
সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন— কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), বেনজীর আহমেদ (ঢাকা–২০), সরওয়ার জাহান (কুষ্টিয়া–১), শরিফুল ইসলাম জিন্না (বগুড়া–২), শহিদুল ইসলাম বকুল (নাটোর–১), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর–১), ছলিম উদ্দীন তরফদার (নওগাঁ–৩), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর–৩), এনামুল হক (রাজশাহী–৪), মামুনুর রশীদ কিরন (নোয়াখালী–৩), মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী–৪), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর–৫), কাজিম উদ্দিন আহম্মদ (ময়মনসিংহ–১১), স্বপন ভট্টাচার্য্য (যশোর–৫), আনোয়ার হোসেন (পিরোজপুর–২), নূর–ই আলম চৌধুরী (মাদারীপুর–১), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট–২), শেখ হেলাল উদ্দীন (বাগেরহাট–১), এনামুল হক (রাজশাহী–৪), কামরুল ইসলাম (ঢাকা–২), হাসানুল হক ইনু (কুষ্টিয়া–২), জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ–২) ও শাজাহান খান (মাদারীপুর–২)।