হাঁস নিয়ে ঝগড়ার জের, বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হাঁস নিয়ে ঝগড়ার জেরে এসএম ফজলুল করিম নামে এক বৃদ্ধকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজলুল করিম (৭০) ওই এলাকার হামিদ মুহুরী বাড়ির মৃত শেখ আহমদের ছেলে।

জানা গেছে, হাঁসের মালিকানা নিয়ে পাশের বাড়ির ফয়েজ উল্ল্যার ছেলে মো. জাকারিয়া জাহেদের সঙ্গে ফজলুল করিমের কথা কাটাকাটি হয়। জাকারিয়া ওই বৃদ্ধকে কিলঘুষি দেওয়ার এক পর্যায়ে গলাটিপে ধরলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ফজলুল করিমের ছোট ভাই বজলুল করিম জানান, গত দুই দিন আগে আমার ভাইয়ের ৪-৫টি হাঁস নিয়ে বাড়িতে আটকে রাখেন তারা। গত সোমবার বিকালে ফজলুল করিমের স্ত্রী ফয়জুল্লাহর ঘরে গিয়ে হাঁসগুলো নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিয়ে আজ সকালে ফজলুল করিমের সঙ্গে ফয়জুল্লাহর ছেলে মো. জাকারিয়া জাহেদের (৩৫) বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জাকারিয়া আমার ভাই করিমের গলাটিপে ধরেন। গলাটিপে ধরায় অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তাকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ফারজানা ইসলাম বলেন, দুপুরে এসএম ফজলুল করিম নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এদিকে ঘটনার পর থেকে মো. জাকারিয়া জাহেদ পলাতক রয়েছে। এই বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলাটিপে এসএম ফজলুল করিমকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত আটকের অভিযান চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করবেল বলে আমাকে জানিয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm