দেশের বিশিষ্ট উদ্যোক্তা সালাউদ্দীন আলী হসপিটালিটি ও হেলথ কেয়ার খাতে অসাধারণ অবদানের জন্য গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এই স্বীকৃতি তার উদ্ভাবনী চিন্তা, নেতৃত্বগুণ ও সমাজের প্রতি মানবিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই অর্জন বাংলাদেশের জন্যও বয়ে এনেছে বিশেষ গৌরব।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর বিখ্যাত বিএমআইসিএইচ (বিএমআইসিএইচ) হলে আয়োজিত এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এই ডিগ্রি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি।
বিশ্বমানের হসপিটালিটি ও হেলথ কেয়ার সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন এবং ব্যবসায়িক উৎকর্ষের মাধ্যমে মানবকল্যাণে কাজ করায় সালাউদ্দীন আলীর নেতৃত্বকে প্রশংসা করেছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
তাদের ভাষায়, এই সম্মানসূচক ডক্টরেট তার ‘অসামান্য নেতৃত্ব’, ‘নবীন চিন্তাধারা’ এবং ‘বিশ্বমানের সেবা প্রতিষ্ঠায় অবদানের’ স্বীকৃতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সালাউদ্দীন আলী শুধু একজন সফল উদ্যোক্তা নন; তিনি এমন একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের বহু মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন। হসপিটালিটি খাতে আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করা এবং হেলথ কেয়ারে আধুনিক প্রযুক্তি ও মানবিক সেবার সমন্বয় ঘটানোই তাঁর মূল লক্ষ্য।
সম্মাননা গ্রহণের পর সালাউদ্দীন আলী বলেন, ‘আমি গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটির কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। এই স্বীকৃতি আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিলো। আমি বিশ্বাস করি, ব্যবসার প্রকৃত লক্ষ্য কেবল মুনাফা নয়—মানুষের সেবার মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করা। দেশের বাইরে একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন সম্মান পাওয়া নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম বড় অর্জন, যা আগামী দিনে আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।’
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সালাউদ্দীন আলীর এই সম্মাননা বাংলাদেশের উদ্যোক্তা সমাজের জন্যও এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তারা আশা প্রকাশ করেন, হসপিটালিটি ও হেলথ কেয়ার খাতে তাঁর পথচলা ভবিষ্যতে আরও নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।



