হঠাৎ চাঙা কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসা, লাখো পর্যটকের ঢল

ঈদের দিন থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণ তালিকায় স্থানীয়দের সংখ্যা বেশি থাকলেও বুধবার (৪ মে) সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দেশের বিভিন্ন এলাকা অাগত পর্যটকের ঢল নেমেছে।

বিশেষ করে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। শুধু সমুদ্র সৈকত নয় সমানতালে কক্সবাজার জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক অাসছেন। সেজন্য হোটেল কক্ষ বুকিংয়েও বেশ সাড়া মিলেছে।

প্রতিটি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। এরমধ্যে তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং বেশি হয়েছে।

কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সমুদ্রসৈকতে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা।’

কক্সবাজার লাবণী পয়েন্টের ব্যবসায়ী সমিতির নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চাঙা হয়ে উঠেছে।’

এদিকে সম্প্রতি কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতসহ হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শতভাগ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে রাত-দিন টহলে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।’

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের পরের সাতদিন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।’

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণসহ সার্বিক বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। কোনোভাবে যাতে সমস্যা না হয়; সেজন্য বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!