সড়কের মাঝপথে রপ্তানিপণ্য চুরি করে ওরা

তারা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রেরদল। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প কারখানার বিদেশে রপ্তারিযোগ্য তৈরি পোশাকগুলো পরিবহনকালে সড়কের মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে চুরি করে আসছে ওই চোরেরদল। এসব রপ্তানিযোগ্য পণ্যগুলো বিদেশে পৌঁছার পর সেখানে দেখা যায় কার্টুনের বেশির ভাগই পণ্য নেই। এতে করে সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে দেশের সংশ্লিষ্ট এসব পোশাক কারখানা ও বায়ারের। এরকম একটি কাভার্ড ভ্যান মালামাল বিক্রি করার সময় পাঁচজনকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)-৭।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার ধুমঘাট বিসিক শিল্প এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

রপ্তানিযোগ্য এসব মালামালগুলো ছিল রাজধানী ঢাকা ফ্যাক্টরি ব্রাইটস এ এন্ড জেড লিমিটেডের। ঢাকা থেকে কাভার্ড ভ্যান ঢাকা মেট্রো-ট-২০৩৯৪২ এ করে চট্টগ্রামে আসছিল রপ্তানিযোগ্য এসব মালামাল।

অভিযুক্তরা হলেন, ভোলা জেলার বোরহান থানার দক্ষিণ ভাটামাড়া এলাকার মো. সিরাজুল হকের পুত্র কাভার্ড ভ্যান হেলপার মো. আল আমিন (২৮), একই জেলা ও থানার কুতবা গ্রামের মো. মালেকের পুত্র মো. নিজাম (২২), ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার নিজকুঞ্জরা গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মদের পুত্র মো. শাহজাহান (৫১), একই এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র মো. মাইনুল হাসান আসিক ও একই এলাকার মো. কামাল উদ্দিনের পুত্র মো. নূরন নবী (২৬। এসময় অজ্ঞাতনামা আরও চারজন আসামি পালিয়ে যায়।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, চোরাই মালামাল আটকের পর স্থানীয় সাক্ষিদের উপস্থিতিতে বিপুল পরিমাণ পোশাক শিল্পের তৈরি পোশাকসহ বহনকৃত কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক করে ছাগলনাইয়া থানায় হস্তাস্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লে. নিয়াজ মোহাম্মদ চপল।

এএম/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!