সড়কজুড়ে রিক্সার আধিপত্য, সুযোগে বেশি ভাড়া হাঁকলেও নিরুপায় যাত্রীরা

নগরের প্রত্যেকটি সড়ক এখন রিক্সার দখলে। লকডাউনে গণ পরিবহণ না থাকায় রিক্সার প্রাধান্য বেড়েছে। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসা মানুষকে তাই গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সব সড়কে এখন শুধু রিক্সা আর রিক্সা। মাঝে মাঝে কিছু প্রাইভেট কার মাইক্রো চলতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এসব প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থামিয়ে পুলিশ জানতে চাইছে কি কারণে বা কি কাজে বের হয়েছে। যথাযথ কারণ বলতে পারলেই যাতায়াত করতে দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু রিক্সা চলাচলে কোন বাধা নেই। ফলে প্রয়োজনের তাগিদে রিক্সা নিয়ে চলাচল করছেন অনেকেই। কিন্তু তার জন্য গুণতে হচ্ছে অনেক বেশি ভাড়া।

আনিসুর রহমান বন্দরের গিয়েছেন নিজের ব্যবসায়িক জরুরি প্রয়োজনে। কিন্ত তাকে রিক্সায় ভাড়া গুণতে হলো চার গুণ বেশী। নগরের বারিক বিল্ডিং এলাকা থেকে ২০০ টাকা ভাড়ায় যেতে হলো বন্দর এলাকার কাস্টমসের মোড়। তিনি বলেন, রিক্সা ভাড়া অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যারা বাইরে বের হয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে খুব বেশি মানুষ রাস্তায় নেই। রাস্তায় রিক্সা ছাড়া অন্য যানবাহন নেই বললেই চলে।

আগের লকডাউন ছিল ঢিলেঢালা এবং মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে দেখা যায়নি। তবে এবার শুরু থেকেই বলা হয়েছিল, কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া মুভমেন্ট পাস ছাড়াও ১৮ ক্যাটাগরি পেশাজীবী মানুষ শুধু আইডি কার্ড দেখানোর ভিত্তিতে চলাচল করতে পারবেন।

নগরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, জিইসি মোড়, বন্দর, কাস্টমস সব জায়গাতে মানুষের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

চট্টগ্রামের নগর জুড়েই এক ধরণের নীরবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । তবে, সকাল থেকে সড়কে মানুষের আনাগুণা না থাকলে বিকেলের দিকে মানুষের চলাচল একটু বাড়ছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে উপ কমিশনার ( উত্তর) বিজয় বসাক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, লকডাউনের এ তিন দিন খুবই সফল হয়েছে। মানুষ এখন উপলব্ধি করতে পারছেন করোনার মারাত্নক মহামারির বিষয়টি। মানুষ সচেতন হলে এ রোগ থেকে আমাদের বাঁচা সম্ভব।

তিনি জানান, নগরেরর মোড়ে মোড়ে পুলিশ আছে, মুভমেন্ট পাস যাচাই করা হচ্ছে। আবার অনেকের পাস না থাকলেও আইডি কার্ড দেখে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!