স্বামী-স্ত্রীর ‘একমাত্র পেশা’ দালালি, বাড়িওয়ালাকে ভাড়া না দিয়ে উল্টো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

0

বাড়িওয়ালার দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার হলেন থানার দালাল হিসেবে পরিচিত আবু ছিদ্দিক ও তার স্ত্রী রিজুয়ানা বেগম। শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখ গেইটে ঘুরাঘুরির সময় বাঁশখালী থানা পুলিশ আবু ছিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার স্ত্রীকেও উপজেলা সদরের উত্তর জলদি বণিক পাড়া সড়ক থেকে একইরাতে গ্রেপ্তার করা হয়। দুইজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

আবু ছিদ্দিক সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা গ্রামের মৃত গুরা মিয়ার পুত্র। থানা পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নের গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ তার চাকরির দীর্ঘদিনের সঞ্চিত টাকায় বাঁশখালী উপজেলা সদরের উত্তর জলদি বণিক পাড়ায় ৭ শতক জমি কিনেন। ওইখানে ঘরও তৈরি করেন। ওই ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা গ্রামের আবু ছিদ্দিক ও তার স্ত্রী।

s alam president – mobile

আবু ছিদ্দিক থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে দালালি করে আয় রোজগার করেন। সে কারণে এলাকায় থানার দালাল হিসেবে পরিচিত। ওই দালালির সুবাদে দীর্ঘদিন ভাড়া না দিয়ে উল্টো ঘরের মালিক হাবিব উল্লাহকে শাসিয়ে দেয় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিলে ঘর ছাড়বে নচেৎ নয়।

বিষয়টি স্থানীয় শালিস বৈঠকে সুরাহা না হলে গত ১৩ মে হাবিব উল্লাহ বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পরও বাদিকে হুমকি ধমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। অবশেষে গত শুক্রবার স্ত্রীসহ তাকে গ্রেপ্তার হয়।

ওই মামলায় আরও দুই আসামি মোস্তাফিজুর রহমান তোহা ও তাকওয়া বেগম পলাতক রয়েছে। বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক বলেন, ‘আবু ছিদ্দিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিয়মিত চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।’

Yakub Group

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!