১২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় সংসার শুরু করেন শিরিন বেগম ও মোহাম্মদ রুবেল। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই বসবাস করছিলেন শিরিন। স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ওড়নায় ঝুলে আত্মহত্যা করে সেই সুখের সংসারের ইতি টানেন শিরিন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল সোয়া ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিরিন বেগম (২৯) পাঁচলাইশ থানাধীন বহদ্দারহাট চেয়ারম্যান ঘাটা শাপলা আবাসিকের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। বিয়ের পর বাকলিয়া থানার তুলাতুলি কল্পলোক আবাসিকে জসিমের কলোনির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন।
এই বিষয়ে নিহত শিরিন বেগমের স্বামী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘আমাদের ১২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের চার বছর পর আমাদের একটা ছেলে সন্তান হয়। এরপর একটি মেয়ে হয়। এখন ছেলের বয়স ৮ বছর আর মেয়ের বয়স আড়াই বছর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দৈনিকভিত্তিতে কাজ করি যার জন্য বাইরে মানুষদের সাথে আমার যোগাযোগ আছে। এটা আমার স্ত্রী পছন্দ করত না। গতরাতে এটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া হয়। আমি ঘর থেকে বের হয়ে চলে আসি। পরে রাতে আমার স্ত্রী বাচ্চাদের ও আমাকে ভাত খাওয়ানোর পর ঘুমিয়ে পড়ি। ফজরের আজানের পরে ঘুম থেকে উঠে দেখি শিরিন নিজের ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে। সকাল ৮টার দিকে মেডিকেল নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।’
চমেক ফাঁড়ি এএসআই শিলাব্রত বড়ুয়া বলেন, ‘তুলাতুলি কল্পলক আবাসিকে স্বামীর সাথে অভিমান করে গলাই ফাঁস দেয় শিরিন বেগম (২৯) নামের এক গৃহিনী। গুরুতর আহত অবস্থায় চমেকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
আরএ/এমএহক