স্বামীকে হোটেল থেকে খাবার আনতে বলে গলায় ফাঁস নিলেন গৃহবধূ

১১ বছরের সংসার। ঘরে তিন বছরের ফুটফুটে একটা ছেলে। স্বামী তরিকুল ইসলাম (৩২) বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আজ দুপুরে বাসায় রান্না না করে হোটেল থেকে খাবার আনতে বলেন স্বামী। শারমিনও তাতে সায় দেন। কথামত স্বামী গেলেন খাবার আনতে। কিন্তু এসে দেখেন স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৬) ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে ঝুলে আছে। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় শারমিনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন হাসপাতালে।

মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর বাকলিয়া তুলাতলি আল মদিনা ক্লাবের পিছনে হাজি গনি মিয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামী তরিকুলের বাড়ি যশোরে। স্ত্রী শারমিনের বাড়ি বগুড়ায়। চাকরির সুবাদে গত এক বছর ধরে স্ত্রীসহ চট্টগ্রামে বসবাস করছেন তিনি।

স্বামী তরিকুল ইসলাম জানান, তাদের মধ্যে কোনও ঝগড়াঝাটি হয়নি। কোনও দাম্পত্য কলহ ছিল না। কিন্তু শারমিন কি কারণে জানি সবসময় হতাশ থাকত। তার মাথা ব্যথা করত সারাদিন। কয়েকবার নিউরো মেডিসিনকে দেখানোর পর থেকে নিয়মিত তাকে ওষুধ সেবন করতে হতো।

তিনি বলেন, দুপুরে তার শারমিন জানান ঘরে চাল নেই। তিনি তখন বলেন, এখন আর চাল এনে কি হবে, হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসি। শারমিনও তাতে সায় দেন। তিনি খাবার আনতে বাইরে যান। হোটেল থেকে বিরিয়ানি এনে দেখেন, ছেলে দরজায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে। শারমিন ফ্যানের সাথে ঝুলছে। পরে প্রতিবেশিদের ডেকে লাশ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার জানান, শারমিন অনেক আগেই মারা গেছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক শীলাব্রত বড়ুয়া জানায়, গলায় ফাঁস লাগানো এক মহিলাকে তার স্বামী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান শীলাব্রত বড়ুয়া।

আইএমই/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm