কাস্টমস কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে কারাগারে যেতে হলো চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আফতাব খানকে। বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি পারমিস সাউথ ইস্ট এশিয়া লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ জুলাই বন্ড সুবিধায় আনা আমদানিকৃত ফেব্রিক্সের শুল্ক আদায়কারী হিসেবে চারটি বিলে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার কাঞ্চন রানী দত্ত। কিন্তু ব্যবসায়ী আফতাব খান কাঞ্চন রানী দত্তের স্বাক্ষর জাল করে ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার ৪০৫ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেন।
পরে তা ধরা পড়লে তৎকালীন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গাজী মো. হোসাইন বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেন। ১৯ জুলাই এ মামলায় আসামি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে গত ১ সেপ্টেম্বর ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট।
জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। গত ২৬ অক্টোবর মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আফতাব খান।
আদালত নথি প্রাপ্তিসাপেক্ষে বুধবার (৩ নভেম্বর) শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামি আফতাব খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দশে দেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আফতাব খান ও রিয়াসাত খান প্রকাশ রিসাত খান আদালত আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আফতাব খান যে কাজটি করেছেন তা রাষ্ট্রীয় কাজে বাধাদান ও রীতিমত জোচ্চুরী। আদালতকে আমরা জানিয়েছি, এরকম আসামিকে জামিন দিলে তিনি দেশের বাইরে চলে যাবেন। মামলার তদন্তকাজ ব্যাহত হবে। আদালত আমাদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে আফতাব খানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আইএমই/কেএস