স্বপ্নভঙ্গের বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরলেন মাশরাফিরা

স্বপ্নভঙ্গের বিশ্বকাপ শেষে রোববার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। জয়ে শুরু, হারে শেষ! মাঝখানে সঙ্গী হয়েছে ভাল-মন্দ দুটোই। মিশ্র অভিজ্ঞতা নিয়েই বিশ্বকাপের ময়দান থেকে রোববার বিকেলে দেশে ফিরলেন মাশরাফি বিন মর্তুজারা।

শনিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারের একটি ফ্লাইটে লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়াল দেন মাশরাফিরা। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা পৌঁছালেন ১১ টাইগার ক্রিকেটার।

সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে পা রেখেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু রাউন্ড রবিন লিগ খেলেই বিদায়। ৩ জয়ের বিপরীতে ৫ হার। শেষ চারে না ওঠাকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর সেই দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন অধিনায়ক।

দেশে পা রেখে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাশরাফি বলেন , ‘দেখুন, যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশ ছেড়েছিলাম, সেটা ভাবলে বিশ্বকাপটা অবশ্যই হতাশাজনক ছিল। তবে যদি আমাদের ভাগ্য সহায় হতো তাহলে হয়তো সেমি-ফাইনালে যেতে পারতাম। পুরো টুর্নামেন্টেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছি আমরা।’

বিশ্বকাপে মাঠে দলের এই ব্যর্থতার পুরোটাই নিজের কাঁধে নিলেন মাশরাফি। বলেন, ‘সত্যি বলতে কী অধিনায়ক হিসেবে দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি আমি। সেই ব্যর্থতার দায়ভার অনেকটাই আমার। দায় আমিই নিচ্ছি, আমাকেই নিতে হবে।’

নিজেও বল হাতে ব্যর্থ পুরো টুর্নামেন্টে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। এনিয়ে সমালোচনা হলেও মাশরাফি রোববার জানাচ্ছিলেন, ‘সমালোচনা হবে-এটাই স্বাভাবিক। সিরিজ বা টুর্নামেন্টের পরই হয় আর বিশ্বকাপের পর তো হবেই।’ দ্বাদশ বিশ্বকাপে মাত্র ৩টিতে জিতে মাশরাফির দল। একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে হয় পরিত্যক্ত। বাকি ৫ ম্যাচে হারে মুখ দেখেন মুশফিক-সাকিবরা। ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে অষ্টমস্থানে থেকে শেষ হয় মিশন।

বিশ্বকাপ শেষে পুরো বাংলাদেশ দল অবশ্য ফেরেনি। ইংল্যান্ডেই রয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ও কন্যা অ্যালাইনা হাসান অব্রিকে নিয়ে সাকিব বেড়াবেন ইউরোপে। বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে ঝড় তোলার এই অলরাউন্ডার নিজের মতো করে সময় কাটাবেন। বাকী তিনজন এক সপ্তাহ পর দেশে ফিরবেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!