‘স্তন্যদানকারী মায়ের সংখ্যা কমছে’

রউফাবাদে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন সভায় বক্তারা

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ায় এমন মায়ের সংখ্যা এদেশে আশংকাজনকভাবে কমছে। সার্বিক পুষ্টি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উন্নতি হলেও স্তন্যদানকারী মায়ের সংখ্যা কমে গেছে। ১৯৯৪ সালে শিশুকে বুকের দুধ দিতেন ৪৬% মা, ২০১১ সালে এটি বেড়ে ৬৪ শতাংশ হয় আবার ২০১৪ সালে এসে তা হ্রাস পেয়ে ৫৫ শতাংশ হয়ে যায়। ২০১৮ সাল নাগাদ এই অনুপাত আর বাড়েনি। শিশুর যথাযথ পুষ্টি, শরীর গঠন এবং মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মাতৃদুগ্ধ দান একটি অতুলনীয় পন্থা ।

সোমবার (০৫ আগস্ট) নগরীর রউফাবাদ বিহারী কলোনির সমাজ সেবা অফিস চত্বরে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে ‘মা সমাবেশ ও মাতৃদুগ্ধদানকারী মাদের সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

১-৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসাবে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আওতায় আর্ন্তজাতিকভাবে পুষ্টি নিয়ে কর্মরত নেটওয়ার্কিং প্রতিষ্ঠান সিভিল সোসাইটি এলায়েন্স অফ সান সিএসএ ফর সান-এর সহযোগিতায় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশ এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘শিশুকে সব সময় মায়ের দুধ খাওয়াতে মাতা-পিতাকে ক্ষমতায়ন করুন।’

আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাব বিভাগীয় সংগঠক জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ।

বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান আবু তাহের, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, জেলা স্কাউটস সাবেক সম্পাদক এস এম শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, ক্যাব পাঁচলাইশের সহ-সভাপতি ক্যাব মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক জানে আলম, ক্যাব নেতা নিজাম উদ্দীন খোকন, শাকিল আহমেদ মুন্না, জাবেদ আলম শাহীন, আইএসডিই বাংলাদেশের মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেশমী আখতার, মুক্তা শেখ মুক্তি, রহিমা আখতার, ক্যাব ডিপিও শাম্পা কে নাহার, শিক্ষক সুধাংশু বিকাশ রয়, নিখিল কুমার বিশ্বাস, মৌলানা মনির প্রমুখ।

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!