স্কুলছাত্রীকে বেধড়ক পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে উদ্ধার

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলীতে সালিশে এক স্কুলছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। আহত ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থী উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের মাহিল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সালিশের নামে মহিল্লা বাজারে অস্থায়ী কার্যালয়ে ডেকে ওই ছাত্রীকে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান।

শিক্ষার্থীর বাবা শুক্কুর মিঞা জানান, ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সালিশের নামে মাহিল্লা বাজারের অস্থায়ী কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তার মেয়েকে বেধড়ক পেটান চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান। মেয়েকে বাঁচাতে তার মামা মিজানুর রহমান পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে আমতলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাজেদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে লংগদু সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মচারী বলেন, ‘ওই ছাত্রীর পিঠে ও কোমরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত শিক্ষার্থীর বাবা শুক্কুর মিঞা। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স কম, সে ভুল করতে পারে। তাই বলে এভাবে প্রকাশ্য সবার সামনে শারীরিক নির্যাতন, মারধর করার কোনো অধিকার চেয়ারম্যানের নেই। লজ্জায় আমার মেয়ে এখন আত্মহত্যার চেষ্টা করছে, আমি এর বিচার চাই।’

Yakub Group

এ বিষয়ে আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। কিছুদিন আগে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্র-ছাত্রী প্রেমঘটিত কারণে খাগড়াছড়ি পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের ধরে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসলে আমি তাদের চড়-থাপ্পড় দিয়ে শাসন করি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন। মারধর করার বিষয়টি আমার উচিত হয়নি, আমি নতুন চেয়ারম্যান হয়েছিম তাই বিষয়টি বুঝতে পারিনি।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!