সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে ট্রলার বিকল, ৩৮ পর্যটক বাঁচলেন ট্রিপল নাইনের কলে

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যাওয়ার পথে কক্সবাজারের নাফ নদীতে নারী-শিশুসহ ৩৮ জন পর্যটক নিয়ে বিকল হয়ে পড়ে একটি নৌযান। ওই পরিস্থিতিতে ট্রলারে থাকা এক পর্যটক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পর টেকনাফ থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছে। পরে বিকল ওই নৌযান মেরামত করার পর পর্যটকরা সেন্টমার্টিন পৌঁছান।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল রাজু আহমেদ একটি কল রিসিভ করেন। ওই কলে আকবর হোসেন নামে একজন কলার জানান, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার নাফ নদীতে তারা ১২ জন নারী ও দুই শিশুসহ মোট ৩৮ জন পর্যটক টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের পথে রওনা হয়েছিলেন। পর্যটকদের মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা ও রাজশাহীর এবং স্থানীয় কিছু পর্যটকও ছিলেন।

ওই কলার জানান, যাত্রার কিছুক্ষণ পরই তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও মাঝি ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেনি। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে ট্রলার বিকল, ৩৮ পর্যটক বাঁচলেন ট্রিপল নাইনের কলে 1

৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি টেকনাফ থানা পুলিশ এবং নৌপুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে অবহিত করে নদীতে আটকেপড়া পর্যটকদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ৯৯৯ ডিসপাচার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার রুবেল এবং ৯৯৯ ডিউটি টিম সুপারভাইজার পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও কলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।

৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে একজন ইঞ্জিন মেরামতকারী মেকানিক সঙ্গে নিয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল নাফ নদীতে রওনা দেয়।

পরে টেকনাফ থানার উদ্ধারকারী পুলিশ দলের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজান ৯৯৯-কে ফোনে জানান, তারা পর্যটকদের জন্য খাবার ও পানীয় নিয়ে গিয়েছিলেন। ট্রলারে আটকেপড়া পর্যটকদের সেগুলো সরবরাহ করেছেন। এরপর মেকানিক ইঞ্জিন মেরামত করে দিলে পর্যটকদের নিয়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের পথে রওনা দেয় এবং নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে যায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!