চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিজের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার অভিযোগ এনে যুবককে উলঙ্গ করে মারধর ও নিজের বীর্য খাইয়ে নির্যাতন করা সেই পুলিশ কনস্টেবল নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের কাছে পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
কনস্টেবল নেছার উদ্দিনের করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া স্থানীয় যুবক মো. সাজ্জাদ হোসেন রুবেলের পিতা নজির আহমদ ও নির্যাতিত যুবক আনোয়ার হোসেন সোমবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত এ অভিযোগ করেন।
এর আগে পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং কোটরপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবককে পুলিশ কনস্টেবল নেছার উদ্দিন তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে উলঙ্গ করে নির্যাতন করেন। এ ঘটনা নিয়ে গত ২৯ জুন চট্টগ্রাম প্রতিদিনে স্ত্রীর প্রেমিক সন্দেহে জুতার মালা পরিয়ে খাওয়ানো হল নিজের বীর্য শিরোনামে ভিডিওসহ সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া পড়ে।
এদিকে, ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের পরিবার ও গ্রেপ্তার হওয়া মো. সাজ্জাদ হোসেন রুবেলের পরিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের আইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া এবং গণধর্ষণের অভিযোগে পটিয়া থানায় ২৮ জুন একটি ধর্ষণ মামলাও করা হয়। বর্তমানে এ মামলাটির দায়িত্বভার পটিয়া থানা হতে কৌশলগত কারণে সিএমপিতে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মামলা দায়ের হওয়ার আগে বিনা ওয়ারেন্টে ২৬ জুন বিকেলে ভেল্লাপাড়া এলাকার থেকে রুবেলকে আটক করে পটিয়া থানায় নিয়ে ৪২ ঘন্টা আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানান রুবেলের পরিবার। পরে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
অপরদিকে, সেই কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর যুবক আনোয়ার হোসেনকে উলঙ্গ করে মারধর করা হয়। আবার মারধরের দৃশ্য ভিডিও ধারণও করেন পুলিশ নেছার।
নির্যাতনের শিকার যুবক আনোয়ার হোসেন জানান, নির্যাতনের সময় কনস্টেবল নেছার তার স্ত্রীর সঙ্গে আমাদের এলাকার সাজ্জাত হোসেন রুবেল ও আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে এমন জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এসময় আমি রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
এসএ