সূর্য ডুবলেই পটিয়ার হাট-বাজারে বসে আড্ডার আসর

পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগম কিছুতেই কমছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে রীতিমতো বসে যায় রসের আড্ডা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাচুরিয়া, সফর আলী মুন্সির হাট, কালারপুল বাদামতল, কাশিয়াইশ নয়া হাট, আশিয়া বাংলা বাজার, মুরালীঘাট, বুধপুরা বাজার, ফকিরা মসজিদ, ধলঘাট, কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, শোভনদন্ডি, কুসুমপুরা, জিরি, মালিয়ারা বাজার, কান্তির হাট, সুচক্রদন্ডি, চক্রশালা, অলির হাট, মোজাফফরাবাদে চলছে ধুমসে কেনাকাটা।

বিশেষ করে কাঁচাবাজার গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যদিও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও ফেরিওয়ালারা শাক-সবজি, তরি-তরকারি, নিয়ে হাট-বাজার গুলোতে নিয়ে আসাতে সাধারণ জনগণ ও তা কিনতে গিয়ে একজনের গায়ে পড়েছেন অন্যজন।

কাউকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে এক প্রকার অঘোষিত লকডাউন চলছে। এসময় বেশ কয়েকজনের কাছে প্রশ্ন করলে তারা জানান, আল্লাহ মারলে এমনি মরে যাব, ভাইরাস কিছুই না।

এদিকে সরকারি টকনা ছুটিতে শহর থেকে যারা এসেছেন তারা অনেকটা ঈদের আমেজে বাজার করছেন। এলাকার সচেতন মহল এতে বিব্রত হচ্ছেন। অনেকে এ প্রতিবেদককে ফোন করে নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার পরও এসব চলছেই। রীতিমতো পুলিশি টহল থাকলেও পুলিশ চলে যাবার পর আগের অবস্থা।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনামুল হাছান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, অভিযান অব্যাহত আছে এবং জনগণকে ভালো রাখার সব ব্যবস্থা করা হবে। করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার জন্য একজন থেকে অন্যজনের মাঝে ব্যাবধান রেখে চলার কথা বলা হলেও গ্রামের লোকজন এসব কিছুই মানছে না।

যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা নিজে সচেতন না হবো ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবর্তন আসবেনা।


এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!