সুপ্তি হত্যাকাণ্ড, স্বামী-ভাসুরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ পানওয়ালা পাড়ায় সুপ্তি মল্লিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী বাসু দেব ও ভাসুর অনুপম চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে সুপ্তি মল্লিকের পিতা সাধন কুমার মল্লিক বাদী ডবলমুরিং থানায় তার স্বামী ও ভাসুরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে বাসু দেব ও অনুপম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমিত বড়ুয়া। বুধবার রাত থেকেই দুইভাই ডবলমুরিং থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল।

জানা গেছে, বুধবার বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটার মধ্যে সুপ্তি মল্লিককে ডবলমুরিং থানার পানওয়ালাপাড়ার নাছিমা মঞ্জিলের চতুর্থ তলার ৫০ নম্বর কক্ষে পূর্ব পরিচিতদের কেউ একজন গলটিপে হত্যা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটও তদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করে।

ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করলে সুপ্তি মল্লিকের দেহ নগরীর অভয়মিত্র শশ্মানে দাহ করা হয় বলে জানান তার পিতা সাধন কুমার মল্লিক।

বাসু দেব একটি ফার্মেসিতে এবং তার বড়ভাই তপন চৌধুরী সেলুনে কাজ করতেন। তাদের বাড়ি রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে। ১৪ আগস্ট বাসু দেবের সঙ্গে কাপ্তাই চন্দ্রঘোনার বাসিন্দা ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থী সুপ্তি মল্লিকের বিয়ে হয়। বিয়ের ১০ দিনের মাথায় সুপ্তির স্বামী বাসু দেবের সঙ্গে তপন চৌধুরীর পরকিয়ার বিষয়টি সুপ্তির নজরে আসে এবং তার পিতা-মাতাকেও তিনি জানান।

সুপ্তি মল্লিকের প্রতিবেশীরা জানান, বুধবার বিকেল তিনটায় তাদের বাসায় এক যুবক এসেছিল দুপুরের ভাত খেতে। সুপ্তি প্রতিবেশীদের কাছে ওই যুবকের পরিচয় দিয়েছিলেন আঙ্কেল বলে। আর বিকেল পাঁচটায় কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা সুপ্তির বিচানায় তার মৃতদেহ পায়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম বিভাগ) এসএম হুমায়ুন কবির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সুপ্তি মল্লিককে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশপাশে তথ্যের পাশাপাশি আমরা প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে আমরা সুপ্তি মল্লিকের খুনিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। সুপ্তি মল্লিক যাকে আঙ্কেল বলে প্রতিবেশীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি কী আদৌ আঙ্কেল ছিলেন, নাকি আঙ্কেল পরিচয়ের আড়ালে অন্য পরিচয় আছে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই আঙ্কেল সুপ্তির ঘনিষ্ঠজন হতে পারেন, আবার স্বামী কিংবা অন্য কেউ তথাকথিত আঙ্কেলকে তার বাসায় পাঠাতেও পারেন।’

এফএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm