ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট লিংক রোডে অবরোধ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে ২০০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সড়কে যানবাহন ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা, সড়ক অবরোধ করে দুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বায়েজিদ সংযোগ সড়ক ৬ ঘণ্টা অবরোধ করে জঙ্গল সলিমপুরবাসী। এ সময় অবরোধ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন জঙ্গল সলিমপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ড আলীনগরের বাসিন্দা শামছুল হকের ছেলে, সন্ত্রাসী ইয়াছিন মিয়ার ভাই মো. ফারুক (৪০)। তার সঙ্গে আরও ছিলেন কাউছার (২৭), নুর ইসলাম (৫০), মোখলেস (৪৫), আবুল হোসেন (৩৮), আনোয়ারসহ (৪২)১৪০-১৫০ জন দুস্কৃতকারী। এ ঘটনার পর ওই রাতেই পুলিশ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫০ জনের অজ্ঞাত দেখিয়ে ছয়টি পৃথক মামলা করে।
এদিকে বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে জঙ্গল সলিমপুরে যান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ ও সিএমপির সদস্যরা। ওই এলাকায় ১৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন, দুটি নিরাপত্তার চৌকি বসানোর কাজ শুরু হয়। তবে এ সময় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করেনি জঙ্গল সলিমপুরবাসী।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরবাসী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কোনো কথায় শুনছিল না। এক পর্যায়ে প্রশাসনের ওপর চড়াও হয় তারা। অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে আলীনগরের সন্ত্রাসী ইয়াছিনের ভাই ফারুক নিজেদের বাহিনী নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয়। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আমরা ফাঁকা গুলি, লাঠি চার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করি।’
সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ আলীনগর ও জঙ্গল সলিমপুরে চলমান রয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার কিছু দুস্কৃতকারীর প্ররোচণায় সড়ক অবরোধ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে আন্দোলনকারীরা। এখানে আমরা ১৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও দুটি নিরাপত্তা চৌকি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ভারী যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে রোড ব্লোকেজ নির্মাণকাজ শুরু করেছি।’
ডিজে