চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এক সিএনজি অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছে। এছাড়া পৃথক একটি দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।
নিহত সিএনজি অটোরিকশা চালক কোরবান আলী (৪০) সীতাকুণ্ড পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াকুবনগর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে পৌরসভার নুনাছড়া বটতল ও কুমিরা এলাকায় এ দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন মিরসরাই উপজেলার ছোট কমলদহের খতিজা আক্তার (৩০) ও তার শিশু সন্তান সাফিক (৫), সীতাকুণ্ড পন্থিছিলা এলাকার রৌশনী (২০), সীতাকুণ্ড লাঠিয়াল পাড়ার মো. সিদ্দিকুর রহমান (৬০) পন্থিছিলার ফেরদৌসী আক্তার (৪০) একই এলাকার নুরুল ইসলাম (৩২), কুমিরার মো. মাসুদ (২১), মগপুকুরের রেজাউল করিম (২১), কুমিল্লা জেলার সবুজ (১৭), সন্দ্বীপের দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও একই উপজেলার আবু তাহের (৬০)।
এদিকে নুনাছরা বটতল এলাকায় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে বাসের সাথে সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশা চালক নিহত হন। এতে ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হন । ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পৌরসভা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান করে। এ সময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব অটোরিকশা পুলিশকে মাসোহারা দেয় তারাই অনায়াসে মহাসড়ক দিয়ে অবাদে চলাচল করছে। তাদের কোনো সমস্যাই হচ্ছেনা।
অপরদিকে কুমিরা আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সামনে দুটি যাত্রীবাহী লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় বাসের ৬ যাত্রী আহত হয়।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা অভিমুখী একটি সিএনজি অটোরিকশা মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হাইওয়ে পুলিশ থামার জন্য সংকেত দেয়। এ সময় চালক দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে একটি বাসের সাথে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে সিএনজি অটোরিকশার চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।’
এমএফও