চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে ট্রেনের দুটি ইঞ্জিনের সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয়েছে একটি মেইল ট্রেনের ইঞ্জিন। এ ঘটনায় চট্টগ্রামগামী ট্রেনটির চালক ও সহকারীসহ অন্তত অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ফৌজদারহাট স্টেশনের কাছে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়।
আহতদের মধ্যে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ আলী, সহকারী লোকোমাস্টার নজরুল ইসলাম ও ইঞ্জিনের থাকা লোকোমাস্টার সবুজ চৌধুরীর নাম জানা গেছে।
এদিকে লাইনচ্যুত হবার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
পূর্ব রেলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে ফৌজদারহাট স্টেশনের কাছে আসা কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সঙ্গে একটি সান্টিং ইঞ্জিনের ধাক্কা লাগে। এতে কর্ণফুলীর ইঞ্জিনের দুটি চাকা পড়ে যায়।
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ‘দুটি ট্রেন একই লাইনে যাচ্ছিল। ইঞ্জিনটি ধীরে ধীরে যাচ্ছিল। কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।’
এর আগে ৩ জানুয়ারি সকাল সাতটার দিকে চট্টলা এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটির ইঞ্জিনের পেছনের বগি লাইনচ্যুত হয়। লাইনচ্যুত অবস্থায় ট্রেনটি অনেকটা পথ পাড়ি দেয়। ওইদিন সকাল ছয়টার দিকে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি উপজেলার সীতাকুণ্ডের শুকলাল হাট প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ইঞ্জিনের পেছনের বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১ কিলোমিটার দূরে সিরাজ ভূঁইয়ার রাস্তার মাথা এলাকায় গিয়ে ট্রেনটি থেমে যায়। রেললাইনের জয়েন্টের বোল্ট খুলে ভেঙে যাওয়ার ফলে ওই ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হয়। এতে ইঞ্জিনের পিছনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ৫০-৬০টি স্লিপার ট্রেনের চাকার সংঘর্ষে উপড়ে যায়।
আরএম