সীতাকুণ্ডে উপসর্গ ছাড়াই একই দিনে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে সীতাকুণ্ডে মোট ৭ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে ২জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সুস্থ হওয়া ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যাংকের আমর্স গার্ড অন্যজন স্ক্র্যাপ জাহাজের লোহার পাইপ ব্যবসায়ী।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের সীতাকুণ্ড পৌরসদর কার্যালয়ের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপজেলা ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বরত। অন্য একজনের বাড়ি উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট কালুশাহ নগরে। তিনি সবজি ব্যবসায়ী। তৃতীয়জন বড় কুমিরার পিএইচপি কারখানাসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তিনি পিএইচপিতে ফোরম্যান হিসাবে কর্মরত।
সীতাকুণ্ডে নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের সবার বয়স ৪০-৪৫ বছর। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো করোনার উপসর্গ নেই। তারা নিজ দায়িত্বেই নমুনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যান। বুধবার রাতে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে করোনা শনাক্তকরণ রিপোর্টে তারা পজিটিভ হয়েছেন। এদিকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ৩০ পরিবারকে লকডাউনে রেখেছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন বলেন, ‘পেশাগত কারণে ব্র্যাকের সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমসূচির ম্যানেজারের সাথে ওঠাবসা হয় আমার। তাই আমি নিজ দায়িত্বে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি।’
এ প্রসঙ্গে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, ‘বুধবার দুপুরে ও রাতে একইদিনে উপজেলায় মোট তিনজন করোনা আক্রান্তের খবর আসে আমার কাছে। এরই মধ্যে দুপুরে ব্র্যাক এর যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপজেলা ম্যানেজারের বাসা, অফিসসহ আশপাশের ৩০টি পরিবারকে লকডাউন করেছি। এছাড়া রাতে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বাড়িও লকডাউন হয়েছে।’
এসএস