চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় নিয়ে সরকারের বড় পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এছাড়া এখানকার পাহাড় কেটে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে। এসব পাহাড়ের ভূমি থাকবে শুধু সরকারি নিয়ন্ত্রণে। এখানে বসবাসকারী সকল প্রকৃত ভূমিহীন ব্যক্তিকে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৪ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য খ্যাত সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকা পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। পরে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ভূমিমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টা সলিমপুরের আলীনগর পাহাড়ে অবস্থান করেন। এ সময় সরেজমিনে তিনি আলীনগরে নির্বিচারে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি ও অবৈধভাবে নির্মাণ করা বসত-বাড়িগুলো দেখেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরে কোনো ভূমিদস্যুতা চলতে দেওয়া হবে না। এ এলাকার বিপুল সরকারি খাস জায়গা নিয়ে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমি পরিদর্শনে এসেছি।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ড. বদিউল আলম, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল, সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে পাহাড় কাটা, প্লট বিক্রি বন্ধ করা হবে। তাই এখান থেকে সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।’
ডিজে