চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ১১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) হিসেবে এএসএম লুৎফুল আহসান দায়িত্ব নেওয়ার একদিনের পর এই বদলি করা হয়েছে। তবে এমন বদলিকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলেছেন ভিসি। কিন্তু বদলি হওয়া এক কর্মকর্তা পদোন্নতির বদলে তাকে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন।
গত ২ জানুয়ারি সিভাসুর রেজিস্ট্রার মির্জা ফারুক ইমামের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ১১ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে বদলি করা হয়।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক এএসএম লুৎফুল আহসানকে সিভাসু’র নতুন ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ছিলেন।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সিভাসুর জনসংযোগ ও প্রকাশনার উপপরিচালক খলিলুর রহমানকে পিএস টু ভিসি (অতিরিক্ত দায়িত্ব), প্রকৌশলী দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কৌশিক নন্দীকে সিভাসুর আওতাধীন হাটহাজারী রিসার্চ অ্যান্ড ফার্মবেইজড ক্যাম্পাসে, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আলমগীর হোসেনকে হাটহাজারী রিসার্চ অ্যান্ড ফার্মবেইজড ক্যাম্পাসের স্টেশনের ঢাকা গেস্ট হাউসের অতিরিক্ত দায়িত্ব, সিভাসুর উপাচার্য দপ্তরের সেকশন অফিস ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদীনকে ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটে, রিসার্চ অ্যান্ড ফার্মবেইজড ক্যাম্পাসের প্রোডাকশন অফিসার ডা. মো. তারিকুল ইসলামকে উপাচার্যের পার্সোনাল অফিসার (পিও) হিসেবে, রেজিস্ট্রার অফিসের সেকশন অফিসার মো. গোলাম রাজ্জাক পাটোয়ারীকে টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টারে, টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টারে সেকশন অফিসার কাজী মো. এরশাদকে রেজিস্ট্রার অফিসের সেন্ট্রাল স্টোর হিসেবে, ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের সেকশন অফিসার আবু মোহাম্মদ আরিফকে প্রকৌশল দপ্তরে, নিরাপত্তা শাখার সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে ট্রেজারারের পার্সোনাল অফিসার (পিও) হিসেবে, কক্সবাজারের রিসার্চ সেন্টারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুককে উপচার্যের প্রটোকল অফিসার হিসেবে এবং রেজিস্ট্রার অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা চন্দন সরকারকে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে বদলি করা হয়েছে।
সিভাসু’র সাবেক উপপরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) বর্তমানে পিএস টু ভিসি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খলিলুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভিসি স্যারের নিয়োগের একদিন পরই বদলির আদেশ স্বাভাবিক। এরকম এর আগের ভিসি স্যারও করে গেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে প্রমোশন নয়, ডিমোশন করা হয়েছে। আমাকে বর্তমানে যে দায়িত্বে পদায়ন করা হয়েছে, ওই দায়িত্বে ২০১০ থেকে ২০১৮ সালে ছিলাম। পরবর্তীতে আরও একধাপ পেরিয়ে উপপরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।’
জানতে চাইলে সিভাসুর রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত ২ জানুয়ারি ১১ জন কর্মকর্তার বদলির আদেশটি ভিসি স্যারের নির্দেশ মতোই হয়েছে।’
সিভাসুর ভিসি এএসএম লুৎফুল আহসান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কর্মকর্তাদের এটা স্বাভাবিক বদলি, আগের ভিসিও এরকম করেছেন। বদলির আদেশে ১১ জন কর্মকর্তা ছাড়াও আরও বেশ কিছু কর্মচারীকেও বদলি করা হয়েছে।’
এমএ/ডিজে