সিডিএর দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর ‘আমলনামা’ তৈরি করেছে দুদক

সড়কের পৌনে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ

চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট রোড উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, যথাশীঘ্র আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে নুর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, কালুরঘাট রোড উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের এক কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালে ২২টি মামলা করে দুদক।

এসব মামলায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ২৫ জন প্রকৌশলী ও ২২ ঠিকাদার মিলিয়ে ৪৭ জনকে আসামি করা হয়।

পরে ২০১১ সালের ২০ মে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাগুলোর চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলায় ৪৭ জনকে আসামি করা হলেও পরবর্তীতে ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

এজাহারে ২২ মামলার সবকটিতে সিডিএর সাবেক ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূর হোসেন, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, এম এ এন হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ মনজুর হাসান, মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুরুল আমিন ভূঁইয়া, সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান, রাজীব দাশ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওসমান শিকদার, মোহাম্মদ হামিদুল হক, এস্টিমেটর সৈয়দ গোলাম সরোয়ার ও রুপম কুমার চৌধুরীকে আসামি করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm