সিজিএমওয়াই থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে বদলি ‘মামলার আসামি’ আরএনবি সদস্যকে
২০১৮ সালে করা হয় চাকরিচ্যুতির সুপারিশও
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যদের বদলি নিয়ে রমরমা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তদবির করে পছন্দের জায়গা বদলি, মোটা অংকের টাকায় পদায়ন নেওয়াসহ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মামলার আসামি এক আরএনবি হাবিলদারকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের জেনারেল শাখায় বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি, টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় হাজত খাটলেও পরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরিচ্যুতির হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।
আরএনবির সেই হাবিলদারের নাম হাফিজুর রহমান। গত ২৪ নভেম্বর তাকে মার্শালিং ইয়ার্ড (সিজিএমওয়াই) থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের জেনারেল শাখায় বদলি করা হয়।
জানা গেছে, হাবিলদার হাফিজুর রহমানের নামে দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি টিকিট কালোবাজারি ও অপরটি মাদকের। এছাড়া তিনি আরও একটি টিকিট কালোবাজারি মামলায় খালাস পান। এসব অভিযোগের কারণে ২০১৮ সালে তাকে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ করেন তৎকালীন কমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম। কিন্তু তৎকালীন চিফ কমান্ড্যান্ট ইকবাল হোসেনকে ‘ম্যানেজ’ করে এবং রেল শ্রমিক লীগ নেতার সুপারিশে তিনি চাকরি বাঁচিয়ে নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হাফিজুর রহমান আমার দলের কর্মী ছিলেন।’
অভিযোগ রয়েছে, আগে শ্রমিক লীগের সঙ্গে সখ্যতা থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাফিজুর রহমান বিএনপিঘেঁষা হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি এ বদলিতে বিএনপি রেল শ্রমিক দলের নেতাদের সুপারিশ আছে।
হাফিজুর রহমানের জন্য শ্রমিক দলের কেউ সুপারিশ করেছেন কিনা, জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় রেল শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মন্জু বলেন, ‘আমরা চিফ কমান্ড্যান্টের সঙ্গে দেখা করেছি, এটা সত্যি। কিন্তু সেসময় কোনো বিএনপি নেতা কারও বিষয়ে সুপারিশ করেছে কিনা সেটা খেয়াল করিনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে হাবিলদার হাফিজুর রহমান হেসে প্রতিবেদকে চায়ের দাওয়াত দেন।
হাফিজুর রহমানকে চাকরিচ্যুতির জন্য সুপারিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম আরএনবির চিফ কমান্ড্যান্ট (তৎকালীন কামন্ড্যান্ট) আশাবুল ইসলাম। তবে তিনি কারও সুপারিশের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জেএস/ডিজে