চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল রেলওয়ে ভবনে (সিআরবি) সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছে রেলের এক কর্মচারী। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রেলওয়ে হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসা পেতে লেগেছে এক ঘণ্টার বেশি সময়। পরে হাসপাতালের অনুপস্থিত কর্মচারীদের ফোন করে ডেকে আনলে চিকিৎসা মেলে ওই রেল কর্মচারীর।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সিআরবিতে অটোরিকশার ধাক্কায় আহত সান্টিং লোকোমোটিভ মাস্টার মিজানুর রহমানের (৫০) সঙ্গে ঘটে এই ঘটনা।
আহত মিজানুরকে স্থানীয় কয়েকজন হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিজানুরকে দ্রুত রেলওয়ে হাসপাতাল নিলে গেলে ডিউটি ডাক্তার চিকিৎসা দেন। কিন্তু সহয়তা করার জন্য ওই সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, ফার্মাসিস্ট ছিলেন না। এজন্য প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় তাকে অপেক্ষা করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিজানুরকে ডিউটি ডাক্তার দেখার পর চিকিৎসা দিতে গেলে ড্রেসিং রুম বন্ধ পাওয়া যায়। সেখানে ওয়ার্ডবয় মোমিন উল্লাহ ড্রেসিং রুম তালাবদ্ধ করে চলে যান। পরে তাকে ফোন করা হলে নাস্তা করতে গেছেন জানান এবং প্রায় আধ ঘণ্টা পর এসে ড্রেসিং রুম খুলেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে ইনজেকশন দিতে গেলে পাওয়া যায়নি ফার্মাসিস্ট নাসির উদ্দিনকে। তাকে ফোন করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ইনজেকশন না থাকার অজুহাতে বসে থাকেন সিনিয়র নার্স শারমিন জাহানও।
এমনকি হাসপাতালে এটেনডেন্ট জিল্লুর রহমানও অশোভন আচরণ করেন বলে জানান রোগীর সঙ্গে উপস্থিত এক ব্যক্তি।
আহত মিজানুর রহমান বলেন, ‘রেলে কাজ করি, অথচ অফিসের সামনে দুর্ঘটনার পর রেলওয়ে হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পেতে এক ঘণ্টা দেরী হয়েছে। এতেই বোঝা যায় হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষের কি হাল হয়।’
হাসপাতালের কর্মচারীদের এমন আচরণে দুঃখ প্রকাশ করেন ডিউটি ডাক্তার ফাতেমা বেগম।
বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক (পূর্ব) ডা. ইবনে শফি আব্দুল আহাদকে হাসপাতালের কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে জানালে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
জেএস/ডিজে