সারেন্ডার করা ছাড়া মীর নাছির ও মীর হেলালের উপায় নেই

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি মেলেনি

বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেয়নি আপিল বিভাগ। এ আদেশের কারণে বাবা ও ছেলে দুজনকেই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতেই হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে আপিল আবেদন করায় আপিল বিভাগ তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এ আদেশের কারণ মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতেই হচ্ছে।’

জরুরি অবস্থার সময় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই রায়ে মীর নাছির উদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন হাইকোর্টের এ রায় বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করে। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ৩ জুলাই এক রায়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টেই বিচার করার নির্দেশ দেয়।

ওই নির্দেশে পুনরায় শুনানি শেষে গত বছর ১৯ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। এবার রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখা হয়।

হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি। ১৫৯ পৃষ্ঠার এ রায়ে তাদের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ না করেই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এরপর সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

মীর নাছির ও তার ছেলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!