বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সহিংসতার ঘটনায় রিলিজিয়নস ফর পিস (আরএফপি) বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষত রাজনৈতিক হানাহানিকে পুঁজি করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাঁদের বাড়িঘরে আগুন, সম্পদ লটপাটের ঘটনা বর্বরোচিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্তরায়। ক্ষমতা, হানাহানি আর অশুভ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ধর্মকে সাম্প্রদায়িক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চলছে। এতে করে জনমানুুষের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আরএফপি বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য ও সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. মাছুম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সংখ্যালঘু মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধান, লুটতরাজ ও অরাজক পরিস্থিতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় যথাসাধ্য ভূমিকা রাখার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আরএফপি বাংলাদেশ মনে করে সংঘাত-সহিংসতায় ঘৃণার চাষাবাদ হয়। এসব কাজের মাধ্যমে সমাজে একটি দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অপরপক্ষে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্প্রীতি, সহানুভূতি ও সৌহার্দ্যের চর্চা সমাজে একটি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। বস্তুত দিন শেষে মানুষ শান্তিকেই অন্বেষণ ও অবলম্বন করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সেই শান্তির সুবাস বিস্তৃত করে। মানুষ্যত্বের সুবাসে দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর অশান্তির অপচেষ্টা পরাস্ত করে শান্তির পথে আমরা সবাইকে আহবান জানাই।
উল্লেখ্য, শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত আরএফপি সারা বিশ্বেই একযোগে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ প্রায় ১৪০টি দেশে আরএফপি’র সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।