সাবেক হুইপ সামশুল হকের বিরুদ্ধে আবারও অনুসন্ধানে দুদক

ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রকল্পে অনিয়মের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্যও আমলে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ৮ মে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রামের পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী।

সেসময় দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, অব্যাহতিপত্রটি ওই দিনই গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদ এবং সরকারের সংশ্নিষ্ট সকল বিভাগে পাঠানো হয়েছিল।

আরও জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিভিন্ন পত্রিকায় করা সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এবং দুদকে বিভিন্ন ব্যাক্তির করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সাবেক হুইপ সামশুলসহ আরও বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেন। প্রায় চার বছর নামে মাত্র অনুসন্ধান করে সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নামে হওয়া সংবাদ এবং অভিযোগের সত্যতার কোনো প্রমাণ এবং তার নামে-বেনামে কোনো অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। অবশ্য অভিযুক্ত অন্য এমপিদের দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সেসময় সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে দুদক কখনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

এর আগে সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ের অভিযোগ তোলা পুলিশ পরিদর্শক সাইফ আমিনকে আদালত সাজা দেন। তার বিরুদ্ধে সামশুল হক ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করেন আদালতে।

অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানে চট্টগ্রামের পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছিল দুদক। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর পরপরই দুদক তফসিলভুক্ত অবৈধ সম্পদের অপরাধ খতিয়ে দেখতে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানের কাজ শুরু করে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm