সাবেক এমপি লতিফকে রিমান্ডে পেল পুলিশ, সেনা হেফাজতে যান ৮ দিন আগে

সকালে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এমএ লতিফকে দুপুরে তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। এর আট দিন আগে লতিফকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।

শনিবার (১৭ আগস্ট) শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এই আদেশ দিয়েছেন।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী জানান, শনিবার (১৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাজার গেট এলাকা থেকে সাবেক সাংসদ এমএ লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

লতিফের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে দেওয়ানহাট এলাকায় এরশাদ নামের এক ব্যক্তি গুলিতে আহত হন। এমএ লতিফ ওই সময় গুলি করার হুমকি দেন। পরে তিনি বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বাদি অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরসহ বাকি আসামিরা তাকে ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের রড-হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। ওই সময় তারা ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটান।

পুলিশ বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এই মামলায় সাবেক সাংসদ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। তবে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৯ আগস্ট মাদারবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে সাবেক সাংসদ লতিফের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা সেই বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে। এ সময় অনেকে লতিফকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগানও দেন। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা তাদের হাতে লতিফকে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ সময় এমএ লতিফের অনুসারী কিছু লোক ক্ষুব্ধ জনতার ওপর হামলার চেষ্টা করলেও পরে তারা পালিয়ে যায়। লতিফও ওই সময় একদফা পালানোর চেষ্টা করেন।

পরে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে খবর পেয়ে সেনাসদস্যদের একটি দল মাদারবাড়ির ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে লতিফকে তাদের হেফাজতে নেয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm