সাবেক এমপি জাফরসহ ৯৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা

কক্সবাজারের পেকুয়ায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি জাফর আলমসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৬০ জনসহ ৯৫ জনকে অভিযুক্ত দেখিয়ে থানায় বিস্ফোরক মামলা হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এম ফরহাদ হোছাইন বাদি হয়ে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে পেকুয়ায় থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে জাফর আলম ছাড়া নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন—পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, রাজাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলাম টিপুসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ জন নেতাকর্মী। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০-৬০ জনকে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে ঘোষিত উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ, মারধর ও ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেন আওয়ামী লীগের এসব নেতাকর্মী।

ওই ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সাঈদী, আবু তৈয়ব, এরশাদুল আলম, রেজাউল করিম মানিক, তামিম হোছাইন, মোহাম্মদ রাজু সহ আরো অনেকে গুরুতর আহত হন।

সে সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের প্রভাবে এই ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ।

মামলার বাদি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এম ফরহাদ হোছাইন বলেন, স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমরা সুষ্ঠুভাবে মিছিলও করতে পারিনি। পেকুয়া বাজারে উপজেলা ছাত্রদলের স্বাগত মিছিলে সাবেক এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে আমাদের ককটেল নিক্ষেপ এবং গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে আমিসহ ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন। থানায় তখন ফ্যাসিবাদীর বসে ছিল বলে আমরা মামলাও করতে পারিনি। ন্যায় বিচারও পাইনি। আমি আশা করি নতুন বাংলাদেশে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, হামলা, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm