সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড বিস্ট পরিবারে নতুন দুই অতিথি

কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দুটি ওয়াইল্ড বিস্ট শাবক জন্ম নিয়েছে।

এ নিয়ে পার্কে ওয়াইল্ডি বিস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতে। এর আগে দুটি স্ত্রী এবং তিনটি পুরুষ ওয়াইল্ড বিস্ট ছিল এই পার্কে।

সাফারি পার্ক সুত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ সাউথ আফ্রিকা থেকে তিন বছর বয়সি ‘মারিয়া’ নামের একটি ওয়াইল্ড বিস্ট আনা হয়। ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল সাফারি পার্কে নামের একটি ওয়াইল্ড বিস্ট জন্ম নেয়। তার নাম রাখা হয় ‘জনি’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ‘আখি’ ‘রাজিব’ এবং ‘ঝুন্টু’ নামের তিনটি ওয়াইল্ড বিস্ট জন্ম গ্রহণ করে।

চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড বিস্টের বেস্টনিতে দুটি শাবক জন্ম গ্রহন করে।

বর্তমানে নতুন দুটি শাবকসহ সাতটি ওয়াইল্ড বিস্ট রয়েছে সাফারি পার্কে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি গোপন রাখে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওয়াইল্ড বিস্ট মুলত সংঘবদ্ধভাবে চলাফেরা করে। এই প্রাণীদের আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোতে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণ করতে দেখা যায়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বর্ষা মৌসুমে তারা প্রজনন করে। প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় সাধারণ ১৮ থেকে ১৯ কেজি পর্যন্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে শাবকদের গায়ের রং ধুসর (টনি ব্রাউন) এবং প্রাপ্তবয়স্ক হলে নীলাভ ধুসর বর্ণ ধারণ করে। এরা বছরে একটি শাবক প্রসব করে। আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত মায়ের সাথে থাকে এবং মায়ের দুধ পান করে। পাশাপাশি ঘাস, ভুষি, গাজর, ভুট্টো খায়। পুরুষ বাচ্চারা দুই বছর এবং মাদি বাচ্চারা ১৬ মাস বয়সে প্রজননে সক্ষমতা অর্জন করে। এরা প্রাকৃতিক পরিবেশে ২০ বছর এবং আবদ্ধ পরিবেশে ২৪ বছর পর্যন্ত বাঁচে।’

তিনি বলেন, ‘ওয়াইল্ড বিস্ট শাবক সাধারণত জন্মের পরপরই উঠে দাঁড়ায় এবং দৌঁড়াতে শুরু করেন। শাবক দুটি পুরুষ নাকি মাদি তা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তাদের নিরাপত্তার কারণে কাউকে আপাতত কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। কয়েক মাস বয়স পার হলেই তাদের কাছে যাওয়া সম্ভব হবে।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!