সাতশর ওপরেই চট্টগ্রামের দৈনিক করোনা শনাক্ত, মৃত্যুর খাতায় ১

চট্টগ্রামে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো করোনা শনাক্তের সংখ্যা সাতশর ওপরেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি ভাইরাসটিতে নতুনভাবে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৯৩০ জন। শনাক্তদের মধ্যে ৭৫৭ জন নগরের এবং ১৭৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৬ জনে। এর মধ্যে নগরে ৭৯ হাজার ২৪ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৯ হাজার ৩৫২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩৪২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরে ৭২৮ এবং উপজেলায় ৬১৪ জন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে তিন হাজার ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৩০ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। এতে করে পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার হয় প্রায় ৩০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

সিভিল সার্জন অফিসের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস-এ (বিআইটিআইডি) ৬২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ২৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে করানো এন্টিজেন টেস্টে ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শেভরণে ৪৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আরটিএলে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।ইপিক হেলথ কেয়ারে ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ল্যাব এইডে ৫ জনের নমুন পরীক্ষা করে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এশিয়ান স্পেশালাইড হাসপাতালে ১৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে নমুনা পরীক্ষা হয় নি।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ১৭৩ জনের মধ্যে সীতাকুণ্ডে সবচেয়ে বেশি ৪২ জনের দেহে ভাইরাসটির জীবাণু পাওয়া যায়। এছাড়া, বোয়ালখালীতে ২৩ জন, হাটহাজারীতে ১৬ জন, রাউজানে ১৫ জন, সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়ায় ১৩ জন করে, লোহাগাড়া, পটিয়া ও ফটিকছড়িতে ১০ জন করে, সন্দ্বীপে ৯ জন, বাঁশখালী ও মিরসরাইয়ে ৪ জন করে, আনোয়ারায় ৩ জন এবং চন্দনাইশে ১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন কর্ণফুলী উপজেলায় কোন রোগী পাওয়া যায়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!