সাতক্ষীরা ছুঁতে চলেছে বুলবুল, কী হবে রাতে— উৎকণ্ঠায় বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে বৃষ্টি ঝরছে, আবহাওয়া গুমোট

ভয়ঙ্কর থেকে আরও ভয়ঙ্কর এখন ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। প্রবলগতির এই ঘূর্ণিঝড়ের আকার বড় থেকে আরও বড় হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ নিশ্চিত, শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতেই তা আঘাত হানবে বাংলাদেশে। এখন শুধু অপেক্ষা, সেই সঙ্গে আশঙ্কাও— বুলুবুল কোথায় গিয়ে আছড়ে পড়বে? রাতে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ছোবল মারতে চলেছে বুলুবুল?

ঘূর্ণিঝড়টির সর্বশেষ গতিপথ দেখে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মধ্যরাত নাগাদ এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তবে রাত ১০টা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের বর্ধিতাংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ শুরু করতে পারে। রাত আটটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. শহীদুল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সাতক্ষীরা ছুঁতে চলেছে। চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বৃষ্টি ঝরছে। আবহাওয়াও অনেকটা গুমোট।

সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭৫কিমোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কক্সবাজার থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১৫০ কিলোমিটার গতি সঙ্গে নিয়েই অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল অতিক্রম করতে পারে বাংলাদেশ উপকূল। ১০ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবন এলাকায় আঘাত হেনেছিল যে ঘূর্ণিঝড় আইলা, তার শক্তিও ছিল বুলবুলের মতোই। ঘূর্ণিঝড়টি জোয়ারের সময় আঘাত হানবে, এতে উপকূলজুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, বিকেল ৫টায় জোয়ার শুরু হলেও পিক টাইম রাত ৯টায়। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগের হিসাবমতে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৮-১২ কিলোমিটার করে এগোচ্ছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উপকূলের আরও কাছাকাছি আসবে। এর প্রভাবে বাড়বে ঝড়ো হাওয়ার বেগ। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের মূল কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার, যা ১৩০ কিলোমিটার থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

ইতিমধ্যে বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে। অন্যদিকে কক্সবাজারে বহাল রয়েছে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সঙ্কেত।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!